"গার্লবস: এই শব্দটা এমন নারীদের বোঝাতে ব্যবহার হয়, যারা নিজের ক্যারিয়ার বা ব্যবসায় সফল হন এবং সমাজের লিঙ্গভিত্তিক বাধা ভেঙে এগিয়ে যান। এদের সঙ্গে সাধারণত খুব বেশি কাজ করার চাপ (হাসল কালচার) আর ব্যক্তিগত সাফল্যের চিন্তা জড়িত থাকে।

স্নেইল গার্ল: এর মানে এমন এক জীবনধারা যেখানে কেউ ধীরে চলা, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া, আর কম কাজের চাপের মধ্যেও সুখ খোঁজার চেষ্টা করে।"

তুমি একজন প্রসিকিউটর। একদিন জানতে পারো, সিয়াম, একজন সদাচারী ও সহানুভূতিশীল ব্যক্তি দুর্ঘটনাক্রমে এক নিরীহ নারীর মৃত্যুর কারণ হয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে তুমি আরও এক অস্বস্তিকর সত্যের মুখোমুখি হও: ফরেনসিক ও পারিপার্শ্বিক প্রমাণগুলো চাইলে খুব সহজেই ব্যবহার করা যেতে পারে আরেকজনের বিরুদ্ধে—এক ব্যক্তি, আদিব, যার বিরুদ্ধে বহু হত্যাকাণ্ডের সন্দেহ আছে, কিন্তু প্রমাণের অভাবে তিনি সবসময়ই শাস্তি এড়িয়ে গেছেন। এখন তোমাকে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে: তুমি কি সেই ভদ্রলোকের বিরুদ্ধে মামলা করবে, যার ভুল ছিল দুঃখজনক কিন্তু ইচ্ছাকৃত নয়? নাকি এই সুযোগে একজন বিপজ্জনক অপরাধীকে শেষ পর্যন্ত বিচারের মুখোমুখি করবে?

"যুক্তরাজ্যে বিতর্ক করছে এমন এক বন্ধুর কাছ থেকে জেনেছো যে, তাদের ক্লাব একটি টুর্নামেন্ট থেকে ১,৫০০ ব্রিটিশ পাউন্ড সংগ্রহ করেছে, যা তারা দুটি দলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যাম্পিয়নশিপে পাঠাতে ব্যয় করবে। তুমি আরও শুনেছো, বিদেশে বিতর্ক প্রশিক্ষণ ও বিচারকার্য করে মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।

তুমি এমন একজন, যার নিজস্ব সার্কিটে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার সক্ষমতা আছে—একটি সার্কিট যা মূলত কমিউনিটির অংশগ্রহণ এবং স্বেচ্ছাশ্রমে বিচারকতার উপর নির্ভর করে, আর্থিক প্রণোদনা বা বাস্তবধর্মী পরিকল্পনার চেয়ে।"

বেথানি এক চিত্রশিল্পী পরিবারের সদস্য, যাদের আঁকা ছবির মাধ্যমে সম্পূর্ণ জগত সৃষ্টি করার ক্ষমতা আছে। এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সে দগ্ধ হয় এবং কণ্ঠনালী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কথা বলার ক্ষমতা হারায়। তার বড় ভাই তাকে বাঁচাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে মারা যায়। বড় ভাইয়ের আঁকা শেষ ছবিতে প্রবেশ করে বেথানি নিজের শক্তি ব্যবহার করে তাকে স্মৃতি থেকে আবার সৃষ্টি করে। এখন তারা একসঙ্গে সেই কল্পনার জগতে অভিযান চালায়। তবে প্রতিদিন সে যতক্ষণ ছবির ভেতরে থাকে, ততটাই তার প্রাণশক্তি নিঃশেষ হতে থাকে। সময়ের সাথে সে লক্ষ্য করে—যদিও সে এখনো তরুণী, তবুও তার চুল ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। তার মা-বাবা বেঁচে আছেন, কিন্তু ছেলেকে হারানোর শোকে তারা বেথানির কাছ থেকে ক্রমেই দূরে সরে গেছেন।